এদের কথার ভুল বা মিথ্যে কথা বলার কারণে যদি লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ মারা যায় , তবে আমি কি তাদের খুঁনি বলতে পারিনা ?!? দোষটা আসলে কাদের? যদি বলি ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহারের করে সাধারণ ও সহজ সরল মানুষদের মনের সাথে খেলছে, জীবন নিয়ে খেলছে , মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে ৷
আমার প্রশ্ন হলো, নানা ভাবে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সাবধান করা সত্ত্বেও কেন এরা ঘর থেকে বের হচ্ছে?? এদের কী মৃত্যুর ভয় নেই !! এদের এমনভাবে হিপ্নোটাইস করে যে তারা এগ্রিসিভ আচরণ করে ৷ সবেবরাতে দলে দলে লোক বাজারে ছুটছে, মানুষ মারা গেছে লক্ষ্য লক্ষ্য লোক জানাযায় উপস্থিত থাকবেন ৷ কিন্তু কেন ? কারা এই সব মানুষদের উসকে দিয়েছে! এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শান্তিমুলুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ কঠিন শাস্তি দিতে হবে৷ এরা ধর্মকে পুঁজি করে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা গল্প বলছে৷ এরা মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চায় যে করোনাভাইরাস বলে কিছু নেই, মানুষের কাছাকাছি আসতে পারে ফলে কিছুই হবে না । যদিও আমরা জানি কতটা ক্ষতি হতে পারে, তার পরেও এই মানুষগুলো বিশ্বাস করে না কেন??এদের ভিডিও দেখলে বা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে কি পরিমাণ লাইক,কমেন্টস, সেয়ার !! তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।আমরা কোন কিছু আপলোড করলে এরকম রেসপন্স পাই না ।অথচ ওরা পারে এর মূলেই রয়েছে এই কুচক্রীর কুকর্মের ফল । এদের ইন্টারেস্টিং কিছু সুপার পাওয়ার আছে যা দিয়ে সে মার্কেট করতে পারে ! আর যখনই কেউ এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে , আর যার কই ! তার গুষ্টি উদ্ধার করবে , গালিগালাজ করবে, মেরে ফেলার হুমকি দিবে, ব্লগে ইচ্ছে মতন থ্রেড দিবে। বলবে, আপনি নাস্তিক, ধর্ম বিরোধী, ইসলাম বিরোধী কথা বলেন ।যখনই কিছু লিখা হয় এদের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে যায় থ্রেড দেয়া । ” মহিলা মানুষ হয়ে এত কথা বলেন কেন? ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য শিক্ষা বা শিক্ষিত হলেই চলবে, “করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আসবে না ” এই কথা জানতে কি আলেম হতে হবে !! এটা তো সাধারণ একটা কমন সেন্স । যেখানে বড় বড় আলেম ও নবি রাসুলদের অসুখ হয়েছে ,তবে সাধারণ মানুষের কেন হবে না? আমি আলেম বা ধর্ম বিরোধী নই কিন্তু এই কথা বুঝতে শিক্ষিত আর কমন সেন্স থাকা লাগে । একজন মুসলিম হয়ে আমি যদি দেখি কেউ আমার ধর্মকে ব্যবহার করে তার ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য মিথ্যে কথা বলেছে, এইটা কি আমার বলা উচিত না?? As a Muslim and human being I have some responsibility. আমার কি উচিত না মানুষকে বিভ্রান্ত করার থেকে সচেতনতার জন্য চেষ্টা করা ? একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এদের বয়ানের মধ্যে বলে না আপনার সবাই ঘর থেকে বের না হয়ে বাড়িতেই কোরান শরীফ পড়েন, নামাজ পড়েন, সকলের জন্য দোয়া করবেন ।বলে না , কেন ? তারা বলবে, ” ওয়াজে আসো, মাহফিলে আসো, চিল্লায় আসো।” কেন ?যারা এই বিপদে পাশে দাঁড়ানো কথা না ভেবে দলে দলে ডাকতে পারে, আসলে তারা ভালো না, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী। খুঁনি তারা । এখানে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া না যদি সিলেট,চট্টগ্রাম বরিশাল ও হতো তা হলেও একজন মুসলিম মানুষের মৃত্যু হলেও দলে দলে ডাকে নিয়ে যেত । কিভাবে এরা মানুষের ব্রেন ওয়াস করে চলছে । আমরা কিছুই করতে পারছি না , কিছু বললেই, ক্ষেতাব মিলে ” নাস্তিক “এই মিথ্যে কথা কে যদি আমরা আটকাতে না পারি তবে করোনাভাইরাসের মত মহামারী আটকাতে পারবে না । ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। যারা গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে , এটা যে সঠিক না বোঝাতে হবে ।তারা যেনে বুঝে শুনে ওয়াজে এনে সহজ সরল মানুষদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।তাদের মিথ্যে কথা আর গুজব শুনে ঘর থেকে বের হচ্ছে । তারা নিজের দেশের মানুষের জন্য কোন প্রকার চিন্তিত না। এরা ব্যবসার কথাই ভাবে ।তারা সত্যিকারের মুসলিম হতে পারে না। পুলিশ দিয়ে বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাঁড়া এদের ঠেকানো দরকার ।আমার দেশের মানুষকে বাঁচানো প্রয়োজন। আমরা মুসলিম মানেই এই নয় যে আমার বেঁচে যাব। নিজের ঘরে থেকে আল্লাহ্ কে ডাকি । নিশ্চয়ই উনি আমাদের সহায়তা করবেন ।